মেনু নির্বাচন করুন

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

দক্ষিণ দিক সাগরের ন্যায় পানি বেষ্টিত, প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ, কবি জসীম উদ্দীন, বন্দে আলী মিয়াসহ আরও অনেক মহৎ প্রাণ কবি-সাহিত্যিকের পদচারণায় গৌরবান্বিত মহুয়া মজলিস তথা মহুয়া বৃক্ষের কোল ঘেঁষে, বঙ্গের আলিগড় খ্যাত সরকারী সা'দত কলেজের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত, চারিদিক মনোরম সুন্দর দৃশ্যমন্ডিত আকর্ষণীয় পরিবেশে অবস্থিত রোকেয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসা। করটিয়া অঞ্চলের বঞ্চিত, অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া, অন্ধকারাচ্ছন্ন মুসলিম জাতিকে ইসলামী তাহজীব-তামাদ্দুন, কৃষ্টি-কালচার, ধর্মীয় মূল্যবোধ, আত্মনির্ভরশীল, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দক্ষ এবং আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মহান লক্ষ্যে উপ-মহাদেশের অন্যতম সিংহপুরুষ নিখিল-ভারত মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি, অসহযোগ আন্দোলনের অন্যতম সাহসী সৈনিক, অত্রাঞ্চলের প্রজাদরদী মুসলিম জমিদার, দানবীর, মরহুম মৌলভী ওয়াজেদ আলী খান পন্নী কর্তৃক অত্র মাদ্রাসার নামে ১১.০০ একর অখন্ডজমি ওয়াকফ করে উক্ত জমির উপর স্বীয় বিদ্যোৎসাহী স্ত্রী রোকেয়া খানমের নামে নামকরণ করে নিজস্ব অর্থায়নে মাদ্রাসার যাবতীয় সবকিছু প্রদান পূর্বক মাওঃ মোঃ তোজাম্মেল হক (এম. এ. ইসলামিক স্টাডিজ, প্রতিষ্ঠাতা সুপারেনটেনডেন্ট) এর নেতৃত্বে ১৬ জন শিক্ষক ও ২৪৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ১৯২৫ সনের প্রারম্ভিক কালে রোকেয়া হাই মাদ্রাসা নামে অত্র‌ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৯৬১ সনে দাখিল, ১৯৬৫ সনে আলিম সাধারণ, ০১/০১/১৯৮৯ ইং তারিখ হইতে আলিম বিজ্ঞান, ০১/০৭/১৯৮৯ ইং তারিখ হইতে আলিম মুজাব্বিদ এবং ১৯৭৮ সনে ফাযিল শ্রেণীতে মাদ্রাসাটিকে উন্নীত করা হয়। ২০০৭ সনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া এবং ২০১৫ সনে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা এর অধীনে অধিভুক্ত হয়ে রোকেয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা (সাধারণ, বিজ্ঞান ও মুজাব্বিদ বিভাগ। উল্লেখ্য, ঢাকা বিভাগে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা ছাড়া একমাত্র অত্র মাদরাসায় মুজাব্বিদ বিভাগ আছে) সুনাম ও সুখ্যাতির সাথে ধর্মীয় ও জাগতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে আসছে। বর্তমানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, (শিক্ষা ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি), টাঙ্গাইলের সভাপতিত্বে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।